নিজস্ব প্রতিবেদক।। কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালীতে সন্ত্রাসীদের আতংকে গ্রামে পুরুষদের ঘরে থাকা দায়, ন্যায়বিচারও মিলছেনা থানায়। নিরাপত্তাহীনতার কারণে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে তুলেছেন আওয়াজ।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করার জন্য আদালত নির্দেশনা দিলেও তা না মেনে পুলিশের কাছে ভুক্তভোগীদের হয়রানি হতে হচ্ছে। অন্যদিকে প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামীরা৷ আটক করছেনা পুলিশ।
এমন অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী তাজনিমারখোলা গ্রামবাসী।
ভুক্তভোগী ছেনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্রুত বিচার আইনে করা মামলার আসামীরা হলেন, পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী ৪নং ওয়ার্ড ঘোনার পাড়ার মৃত আবদু শরীফ ছেলে নুরুল হাকিম প্রকাশ-মনিয়া (৪২), মৃত আবদু শরিফ ছেলে নুরুল আক্তার (২৫), মৃত মোঃ আলম এর ছেলে ইব্রাহীম প্রকাশ- পুতিয়া (২৭), জাফর মিয়ার ছেলে নুরুল কবির প্রকাশ- আব্বুইয়া (২৭), মৃত আবদু শরীফ ছেলে নুরুল আমিন প্রকাশ-আমিন্না (২৬), মৃত আবদু শরিফ এর ছেলে খাইরুল বশর (২৭), সেহের আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, ও মৃত আবদু শুকুর ছেলে মোঃ তোফাইল (৩০),
এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের দেওয়া মোটা টাকার বিনিময়ে মামলা নেননি ওসি। পরে গণ অধিকার পরিষদের সহযোগিতায় আদালতে মামলা করা হলে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে উখিয়া থানাকে মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশনা দিলেও আসামীরা আটক হচ্ছেনা বীরদর্পে ঘুরছে আসামীরা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না পুলিশ।
গণ অধিকার পরিষদ উখিয়া উপজেলার আহবায়ক হামিদুল হক বলেন, “ওসি আরিফ আসামীদের সাথে আতাত করেছেন, তিনি আরো বলেন, আসামীরা থানার আসপাশের কিভাবে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে? আমরা উখিয়া থানার ওসিকে বলতে চাই যদি সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে না পারেন তাহলে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান।”
গণ অধিকার পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, “আমরা ঘটনাটি নিয়ে ওসি সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম তখন আমরা দেখেছি ওসি সাহেব আসামীদের সাথে গোপন কক্ষে একান্তভাবে বসেছিলেন। তিনি আরো বলেন, ওসি সাহেব কিভাবে সন্ত্রাসীদের সাথে এভাবে বসে কথা বলেন?
রোহিঙ্গাদের সাথে যোগসাজশে গড়ে ওঠা মুনিয়া গ্রুপ নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকাবাসীর উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বাবু।
মামলার বাদী ছেনুয়ারা বেগম বলেন “আসামীদের কাছে দুই লাখ টাকা নিয়েছেন ওসি, তারা নিয়মিত থানায় যাতায়াত করছে আসামী হয়েও। আমার স্বামী এখনো মৃত্যু শয্যায়, কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজবাহ উদ্দিন সেলিম বলেন, ” প্রশাসন কেনো নিরব ভূমিকা পালন করছে বুঝতে পারছিনা, এলাকাবাসীরা আতংকিত। শান্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, “কোন পুলিশ সদস্য যদি অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত থাকে তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগ মনগড়া দাবী করে আসামীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন।
মামলার বাদী ছেনুয়ারা বেগম, ভুক্তভোগী, এলাকাবাসী ও ওসির বক্তব্যেের ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে।