উখিয়া প্রতিনিধি।। সন্ত্রাসীদের আতংকে গ্রামের পুরুষদের ঘরে থাকা দায়, ন্যায়বিচারও মিলছেনা থানায়। নিরাপত্তাহীনতায় থাকা গ্রামবাসীরা একজোট হয়েছেন, তুলেছেন ওসির বিরুদ্ধে আওয়াজ।
আদালতের নির্দেশনা না মেনে উল্টো ভুক্তভোগীদের হয়রানি করছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশের এই কর্মকর্তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী তাজনিমার খোলার বাসিন্দারা।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের দেওয়া মোটার টাকার বিনিময়ে মামলা নেননি ওসি। পরে গণ অধিকার পরিষদের সহযোগিতায় আদালতে মামলা হলে নির্দেশনা উপেক্ষা করে আসামীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তিনি।
গণ অধিকার পরিষদ উখিয়া উপজেলার আহবায়ক হামিদুল হক বলেন, “ওসি আরিফ আসামীদের সাথে আতাত করেছেন, তিনি আরো বলেন, আসামীরা থাসার আসপাশের কিভাবে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে? আমরা উখিয়া থানার ওসিকে বলতে চাই যদি সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে না পারেন তাহলে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান।”
গণ অধিকার পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, “আমরা ঘটনাটি নিয়ে ওসি সাহেবের কাছে গিয়েছিলাম তখন আমরা দেখেছি ওসি সাহেব আসামীদের সাথে গোপন কক্ষে একান্তভাবে বসেছিলেন। তিনি আরো বলেন, ওসি সাহেব কিভাবে সন্ত্রাসীদের সাথে এভাবে বসে কথা বলেন?
রোহিঙ্গাদের সাথে যোগসাজশে গড়ে ওঠা মুনিয়া গ্রুপ নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এলাকাবাসীর উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বাবু।
মামলার বাদী ছেনুয়ারা বেগম বলেন “আসামীদের কাছে দুই লাখ টাকা নিয়েছেন ওসি, তারা নিয়মিত থানায় যাতায়াত করছে আসামী হয়েও। আমার স্বামী এখনো মৃত্যু শয্যায়, কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজবাহ উদ্দিন সেলিম বলেন, ” প্রশাসন কেনো নিরব ভূমিকা পালন করছে বুঝতে পারছিনা, এলাকাবাসীরা আতংকিত। শান্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, “কোন পুলিশ সদস্য যদি অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত থাকে তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগ মনগড়া দাবী করে আসামীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন।