মৌলভীবাজার শহরের বাইরে বের হতেই টের পাওয়া যায় ‘কার্তিকের নবান্নের দেশে’ শীত ও কুয়াশাকে সঙ্গে নিয়ে অগ্রহায়ণও চলে এসেছে। সড়কের দুই পাশে ধানের সবুজ লাবণ্যে অনেকটাই পরিবর্তন চলছে। কোথাও সবুজের হালকা ছোঁয়া, কোথাও হলুদের মতো বিস্তীর্ণ আঁচল মেলেছে মাঠ। এর মধ্যেই হেমন্তের সোনার সকাল মৃদু আলো হয়ে ঝরে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ধানের খেতে। অনেক দূরে, পূর্ব দিগন্তে সূর্য ক্রমে বিস্তৃত হয়ে আকাশের বুক থেকে তাপ ছড়ানোর আয়োজন করছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে লাল শাপলা দেখতে মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সড়ক ধরে যাওয়ার পথে দুই পাশে হালকা কুয়াশার চাদর ছিল। কুয়াশামোড়া গ্রামগুলোকে মনে হয়েছে তখনো ঘুমকাতুরে, ঝিম ধরে আছে। আলো ফুটতে থাকায় সকালের ধানের খেত তখন একটু একটু করে ঘোমটা খুলতে শুরু করেছে। রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মুন্সীবাজার থেকে পশ্চিম দিকে গ্রামের ভেতরের দিকে একটা সড়ক গেছে। এই সড়ক দিয়ে হয়তো অনেক গ্রামেই যাওয়া যায়, যাওয়া যায় কাউয়াদীঘি হাওরপারের গ্রামগুলোতেও।