নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চোরাইপথে মিয়ানমার থেকে আসা গরু মহিষের বৈধতা দিচ্ছে উখিয়া গরু (দারোগা) বাজারের ইজারাদার আব্দুর রহিম সহ প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন রাজাপালং ইউনিয়ন চকবৈঠা এলাকার সীমান্তপথে বেড়ে উঠা চাকবৈঠা এলাকার মাফিয়া আব্দুল খালেদ ফরহাদ।
উখিয়া দারোগা বাজার ইজারাদার আব্দুর রহিম উখিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর অঘোষিত ক্যাশিয়ারের দায়িত্বপালন করেন। তিনি এই অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে আসা গরু মহিষকে বৈধ করে সেই টাকা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খরচ করতেন। আব্দুর রহিম একসময় দিনমজুর হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে কোটি টাকার মালিক। রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু- মহিষ প্রবেশে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। তুমব্রু পর্যন্ত সিন্ডিকেট প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন রেজাউল নামে এক ব্যক্তি। তিনি তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা এলাকার আব্দুর খালেদ ফরহাদ করইবনিয়া এলাকায় রাজত্ব করতেন। আবার সে অবৈধ ভাবে চোরাচালানের কাজও করছে।
তুমব্রু হয়ে অবৈধভাবে আসা গবাদিপশু গুলো সরবরাহ ও রশিদ বানানোর মাধ্যমে বেচা বিক্রির দায়িত্ব পালন করেন কুতুপালং এর একাধিক ব্যক্তি।সেখানে প্রাথমিকভাবে প্রধান দুজনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন কামাল উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন।তারা দুজনেই কুতুপালং এলাকার বাসিন্দা।
তারা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন যাবত মায়ানমার থেকে গরু-মহিষ কুতুপালং এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি আগষ্টের শেষের দিকে নাসির ও কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪৫টি মহিষের পাল তুন্নু হয়ে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় প্রবেশ করেন। সেই মহিষের পাল কুতুপালং রফিকের আমবাগানে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
এই অবৈধ মহিষের পাল তারা বৈধ করতে উখিয়া গরু বাজার ইজারা ডাককারী আব্দুর রহিম থেকে অবৈধভাবে রশিদও বানিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
উখিয়া উপজেলা সূত্র জানাযায়, ছোট গরু ৩০০ টাকা এবং বড় গরু মহিষ ৫০০ টাকা হাসিল নেওয়ার কথা উল্লেখ্য করা হয়।
এবিষয়ে গরু বাজার ইজারাদার আব্দুর রহিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ কর হলে তিনি জানান, গরু মহিষ রশিদ দেওয়ার দায়িত্ব আমার তাই গরু মহিষ রশিদ প্রদান করি। অবৈধ গরু উখিয়া বাজারে উঠে না। আমার এরিয়ায় আমি রশিদ দিয়ে যাবো।
অতিরিক্ত হাসিল নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আগে থেকে ১৫০০ টাকা নিয়ে আসতেছি এখনো নিচ্ছি। আমাকে বাঁধা দেওয়ার কেউ নেই কারণ আমি বাজার ইজারাদার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, অতিরিক্ত হাসিল বা রশিদ ফি না নেওয়ার জন্য উপজেলা হলরুমে বাজার ইজারাদারদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে। যদি আইন অমান্য করে কেউ অতিরিক্ত হাসিল নেওয়া হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সীমান্ত দিয়ে কোনো জিনিস পাচার না হয় সেব্যাপারে বিজিবি কাজ করছে।
Discussion about this post