ডেস্ক রিপোর্ট।। সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু ময়মনসিংহ উপজেলার ধোবাউড়া থানায় আটক হয়েছেন। ময়মনসিংহ উপজেলার ধোবাউড়া থানায় আছেন তারা। স্থানীয় জনতা তাদের আটক করেন। তাদের সঙ্গে আরো আটক হয়েছেন, একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান, ড্রাইভার সেলিম।
একটি প্রাইভেটকার নিয়ে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পরে রবিবার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের ধাওয়া দিয়ে আটক করে এলাকাবাসী।
আটক হওয়া প্রাইভেটকার
একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে, আমাকে আমার স্যার মোজাম্মেল হোসেন বাবু সীমান্তে দিয়ে আসার কথা বলেন। তারপর আমি নিয়ে আসার পথে দশটি মোটরসাইকেল পথ রুদ্ধ করে।
আমাদেরকে আটকিয়ে কিল ঘুশি দিয়ে, আমাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা চেক করে কি সব কিছু নিয়ে যায়। কি কি নিছে আমি বলতে পারবো না।’
এব্যাপরে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চান মিয়া বলেন, তাদেরকে সাধারণ জনগণ সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে সকাল ৬টার দিকে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আটককৃত চারজন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
শ্যামল দত্ত দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন মোজাম্মেল বাবু।
এর আগে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সময় দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি সপরিবারে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. খায়রুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি তখন জানান, বিকেলে শ্যামল দত্ত তার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করেন। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে দেশ ত্যাগে তার নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়টি জানানো হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্যামল দত্তকে স্ত্রী-কন্যাসহ ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
Discussion about this post